Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

চ্যানেল আই  আঠারোয় জয়ধ্বনি

মোহাম্মদ তারেক: বাংলাদেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশনের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নাম ‘চ্যানেল আই’। ১৯৯৯ সালে ১ অক্টোবর যার পথ চলার সূচনা। এ চ্যানেলটি হাঁটি হাঁটি পাপা করে পার করেছে সাফল্যের ১৭ বছর। অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক বিকাশ, খাদ্য নিরাপত্তায় শত ভাগ স্বনির্ভরতা অর্জন তথা বাংলাদেশের গণমূলক পরিবর্তনের সরব সঙ্গী চ্যানেল আই। আতশবাজির বর্ণিল রঙে রাঙিয়ে পথচলার ১৮ বছর শুরু করল বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল টেলিভিশন চ্যানেল আই। উৎসব মুখর পরিবেশে ১ অক্টোবর মধ্যরাত ১২.০১ মিনিটে কেক কাটার মধ্যদিয়ে শুরু হয় ১৮ বছরে পথচলার প্রথম প্রহর। এবারের শ্লোগান ছিল “আঠারোয় জয়ধ্বনি”। পথচলার ১৮ বছরের প্রথম প্রহরে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণের চেতনা চত্বরে ছাতিমতলায় কেক কাটার সময়টি ছিল অনাবিল আনন্দের। চ্যানেল আই-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ, পরিচালক জহির উদ্দিন মাহমুদ মামুন, আব্দুল মুকিত মজুমদার বাবুসহ চ্যানেল আই পরিবারের সদস্যরা কেক কাটা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ঐতিহাসিক আনন্দঘন এ আয়োজনে যোগ দিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করতে ছুটে এসেছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজ্জাম্মেল হক, ব্যারিস্টার আমীরুল ইসলাম, সাবেক মন্ত্রী দিলীপ বড় য়া, বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান, সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, বিগ্রেডিয়ার এম শাখাওয়াত হোসেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মিজানুর রহমান শেলী প্রমুখ। জন্মদিনের প্রথম প্রহরে চ্যানেল আই-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর দেশ-বিদেশের কোটি কোটি দর্শক ও শুভানুধ্যায়ীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে কেক কাটা অনুষ্ঠান শুরু করেন। এ পর্বটি সঞ্চালনা করেন জিল্লুর রহমান। ওই দিন চ্যানেল আইয়ের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান রেডিও ভূমিরও জন্মদিন ছিল। এই উপলক্ষে রেডিওটির স্টেশন ম্যানেজার শামস সুমন অতিথিদের নিয়ে প্রথম প্রহরে কেক কাটায় অংশ নেন। এর আগে চ্যানেল আইয়ের ১৭ তম বর্ষপূর্তি ও ১৮ তম জন্মদিন উপলক্ষে আলাদা আলাদা বাণী দেন রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট মো: আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানাও। চ্যানেল আই-এর জন্মদিন উপলক্ষে দেশের সকল জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে বিশেষ ক্রোড়পত্র।

channel-i-3
channel-i-1‘চ্যানেল আইয়ের আজ জন্মদিন আনন্দ ভরা সেই শুভদিন’ গানের সঙ্গে ১ লা অক্টোবর সকাল ১১.০৫ মিনিটে একঝাঁক লাল-সবুজ রঙের বেলুন আকাশে উড়ানোর মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী আয়োজনের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল আই-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ, চ্যানেল আই পরিচালনা পর্ষদের সদস্য জহির উদ্দিন মাহমুদ মামুন, মুকিত মজুমদার বাবু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, প্রবীণ সাংবাদিক কামাল লোহানী, রাহাত খান, বাসস-এর প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, নাট্যজন আতাউর রহমান, কেরামত মাওলা, চলচ্চিত্র পরিচালক আমজাদ হোসেন, কবি মুহাম্মদ সামাদ, হাবীবুল্লাহ সিরাজী, বাংলাদেশের ব্র্যান্ড বিল্ডিং ডিরেক্টর জাবেদ আখতার, সুরকার শেখ সাদী খান, কণ্ঠশিল্পী খালিদ হোসেন, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, ফকির আলমগীর, ফেরদৌস আরা, ফেরদৌস ওয়াহিদ, শাহীন সামাদ, ডিএমপি কমিশনার মো: আসাদুজ্জামান মিয়া, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যাল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মুক্তাদির জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক সহ বিভিন্ন অঙ্গনের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্টজনরা। এ সময়ে ফরিদুর রেজা সাগর বলেন, বাংলাদেশ সহ সারা পৃথিবীর বাঙালিরা যে ভাবে চ্যানেল আইকে তাদের হৃদয়ে ধারণ করেছেন, এতে আমরা অভিভূত। শাইখ সিরাজ দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ১৭ বছর পেরিয়ে ১৮ বছরে চ্যানেল আই কতটা এগিয়েছে সেটা নির্ধারণ করবেন আপনারা। তবে আমরা মনে করি, চ্যানেল আইসহ সব গণমাধ্যমকে আগামীতে আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে। অনুষ্ঠানে শ্রদ্ধাবনতচিত্রে সদ্য প্রয়াত সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হককে স্মরণ করা হয়।

চ্যানেল আই সেরা নাচিয়েদের দলীয় নৃত্য পরিবেশনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শাহীন সামাদ, খুরশীদ আলম, ফকির আলমগীর, ফেরদৌস ওয়াহিদ, সাদি মহম্মদ, শিবলী মহম্মদ, বাদশা বুলবুল, শফি মণ্ডল, আগুন, পলাশ, বাপ্পা মজুমদার, রুমানা ইসলাম, দিনাত জাহান মুন্নী, শাওনেয়াজ বেলী, সেরাকণ্ঠের কোনাল, ঝিলিক, বাংলার গানের চ্যাম্পিয়ন শারমীন ও জলের গান প্রমুখ।

উৎসব আরো জমজমাট করতে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে বসেছিল বেশকটি ষ্টল। সন্ধ্যা নামার আগেই চ্যানেল আইয়ের প্রাঙ্গণে হাজির হন মন্ত্রিসভার সদস্য ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বুদ্ধিজীবী, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক সহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনের উজ্জ্বল ব্যক্তিবর্গ।

channel-i-2সন্ধ্যা ৭ টায় একযোগে বিশাল কেক কাটার মধ্য দিয়ে শেষ ১৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ১৮ তম জন্মদিন উদযাপনের কার্যক্রম। এ সময় আকাশে ফোটানো হয় বর্ণিল আতশবাজি। এই আতশবাজির ঝলকানির মধ্য দিয়ে কামনা করা হয় চ্যানেলটির ১৮ বছরের যাত্রাটি যেন আরও মসৃণ ও আনন্দময় হয়। সন্ধ্যার কেক কাটা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ব্যারিষ্টার মইনুল হোসেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, আব্দুর রাজ্জাক, অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, নাজমা আখতার, বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস, শামসুজ্জামান দুদু, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, হাবিবুর রহমান হাবিব, ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদা, অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সংবাদ প্রতিদিনের সম্পাদক আবু সাঈদ খান, বদিউল আলম মজুমদার, মাঈনুদ্দিন খান বাদল, আজম খান, মীর নাসির হোসেন, এবাদুর রহমান চৌধুরী, খায়রুল কবির খোকন, সাদেক সিদ্দিকী, আহমেদ হোসেন, আবু হোসেন খান, আব্দুল মজিদ, মোহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীকসহ অসংখ্য প্রিয় মুখ এসময় চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ, পরিচালক জহির উদ্দিন মাহমুদ মামুন, আব্দুর রশিদ মজুুমদার, মুকিত মজুমদার বাবু সহ চ্যানেল আইয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সমাপনী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জিল্লুর রহমান ও অপু মাহফুজ।

বিবিসি, জি টেলিভিশন, স্টার নেটওয়ার্ক, এটিএন বাংলা, মাছরাঙ্গা টেলিভিশন, দেশ টিভি, বাংলাভিশন, এটিএন নিউজ, আরটিভি সহ সকল টেলিভিশন চ্যানেলের পক্ষে চ্যানেল আই-এর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানানো হয়। দেশের সকল জাতীয় দৈনিক চ্যানেল আই-এর জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে।