Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

চিন্তা চেতনাকে বিকশিত করতে বইয়ের বিকল্প নাই-প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাহিত্য চর্চা পারে যুব-সমাজকে সঠিক পথে ধরে রাখতে। বই পারে আমাদের চিন্তা চেতনাকে বিকশিত করতে। আজ আমরা অসাম্প্রদায়িক জাতি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছি, আর কখনও বাংলাদেশে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের কোনো স্থান হবে না। তিনি আরও বলেছেন, অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীরা কখনও ভাষার মর্যাদা দিতে পারে নাই। এটা খুবই দুঃখজনক।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে একুশে বইমেলার উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন তিনি। এরপাশাপাশি তিনি আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনেরও শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। ২২ ও ২৩ ফেব্রæয়ারি এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান এবং সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যে, ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতিচারণের পাশাপাশি ওই সময়ের দিনলিপি উপস্থিত অতিথিদের সামনে তুলে ধরেন। ভাষা আন্দোলনে ছাত্র সমাজের আত্মত্যাগের কথাও স্মরণ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বই এবং বই মেলার প্রতি ভালোবাসা ফুটে ওঠে। রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল পদে থাকায় ইচ্ছে থাকলেও মেলায় আসতে পারেন না বলে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। এর পাশাপাশি, শিশুদের মাঝেও বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রযুক্তি নির্ভর সাহিত্য চর্চায় সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপও তুলে ধরেন তিনি।
এবছর ১০ বিভাগে ১২ জন বিশিষ্ট কবি, লেখক ও গবেষকে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেছেন। যারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পুরস্কার স্মরক গ্রহণ করেন। তারা হলেন- কবিতায় মোহাম্মদ সাদিক ও মারুফুল ইসলাম, কথাসাহিত্যে মামুন হোসাইন, প্রবন্ধে অধ্যাপক মাহবুবুল হক, গবেষণায় রফিকুল্লাহ খান, অনুবাদসাহিত্যে আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্যে কামরুল ইসলাম ভূঁইয়া ও সুরমা জাহিদ, ভ্রমণ কাহিনীতে শাকুর মজিদ, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীতে মোশতাক আহমেদ, নাটকে মলয় ভৌমিক এবং শিশুসাহিত্যে ঝর্নাদাশ পুরকায়স্থ।
বইমেলা প্রতিদিন দুপুর তিনটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত ও সরকারি ছুটির দিন সকাল ১১টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত মেলা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। নামাজ ও মধ্যাহ্নভোজের জন্য এক ঘণ্টার বিরতি থাকবে।
মেলার মূলমঞ্চে প্রতিদিনই থাকছে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এসব অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট লেখক, সাহিত্যিক, গবেষক, চিন্তাবিদ ও কবিরা অংশ নেবেন। একাডেমির নিজস্ব দুটি ক্যান্টিন দর্শকদের জন্য সর্বক্ষণ খোলা থাকবে।