Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

চাঁদ সুলতানা পুরস্কার-২০১৫ পেল প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন

পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণে বিশেষ অবদানের জন্য ঢাকা আহ্‌ছানিয়া মিশনের চাঁদ সুলতানা পুরস্কার-২০১৫ পেল প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ২৭ এপ্রিল এ পুরস্কার তুলে দেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদারের হাতে। পুরস্কার হিসেবে দেয়া হয় ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট, ১ লাখ টাকার চেক এবং এক সেট উপকরণ। পুরস্কার পাওয়ার পর প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু পুরস্কারের ১ লাখ টাকা আহ্‌ছানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতালে উৎসর্গ করেন।

ঢাকা আহ্‌ছানিয়া মিশনের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও ভোগবাদী অর্থনীতির দিকে ধাবিত হওয়ায় আমাদের ভূ-প্রাকৃতিক এবং সামাজিক বলয় নষ্ট হচ্ছে। ভূ-প্রাকৃতিক বলয়ের পাশাপাশি আমাদের সামাজিক বলয়ের শৃঙ্খলাও রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমাদের ভোগবাদী আচরণ ও সামাজিক বিশৃঙ্খলা প্রধান অনত্মরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে রাষ্ট্র বড় ভূমিকা রাখতে পারে এবং সামাজিক বলয় ও দারিদ্র্য বিমোচনে রাষ্ট্রকে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি বলেন, এমন কোনো উন্নয়ন, এমন কোনো জীবনযাপন আমাদের করা উচিত নয়; যা প্রকৃতিকে ক্ষতিগ্রসত্ম করে এবং সামাজিক বলয় ধ্বংস করে। ভূ-প্রাকৃতিক বলয় রক্ষা করতে প্রকৃতি ও জীবন ফান্ডেশনের উদ্যোগ উল্লেখযোগ্য। এভাবে অন্যান্য সংগঠন এগিয়ে এলে প্রকৃতি ধ্বংস কমে আসবে।

প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু বলেন, যেকোনো স্বীকৃতি কাজের গতিকে আরো ত্বরান্বিত করে। আমাদের দেশে জীববৈচিত্র্যের একটি বিশাল ভাণ্ডার রয়েছে। প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য আমাদেরই ধরে রাখতে হবে এবং সরকারের পাশাপাশি সবাইকে হাতে হাত রেখে কাজ করতে হবে। আমাদের প্রত্যেকের কিছু না কিছু ক্ষমতা আছে। তার সাথে মমতা মিলিয়ে আমাদের এই প্রকৃতি ও পরিবেশের জন্য কাজ করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা প্রকৃতির সনত্মান। প্রকৃতি বাঁচলে আমরা বাঁচব। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বাঁচবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক মোঃ শাহ আলমগীর বলেন, আমরা এখন এমন এক সমাজে বাস করছি যে সমাজে অহরহ গাছ কেটে, পাহাড় কেটে বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। নদী ভরাট ও দূষণ শিকার হচ্ছে। আমরা সব সময় নিজেদের নিয়ে ব্যসত্ম আছি। দেশ ও সমাজের জন্য আমাদের যে কিছু করা উচিত তা চিনত্মা করছি না। প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের মতো এ দেশের পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষা করতে আমাদের সবার এগিয়ে আসা দরকার। তাহলেই সর্বসত্মরে সচেতনতা সৃষ্টি হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা আহ্‌ছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট কাজী রফিকুল আলম বলেন, মিশন প্রতিষ্ঠাতা হজরত খানবাহাদুর আহ্‌ছানউল্লা (রহ.) প্রকৃতি নিয়ে চিনত্মা করতেন। তিনি সৃষ্টির সেবা বলতে শুধু মানুষ নয়, সমগ্র সৃষ্টিকেই বুঝিয়েছেন। তাই ঢাকা আহ্‌ছানিয়া মিশন প্রকৃতি নিয়েও কাজ করে।

সকাল ১০.৩০ টায় পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয় ঢাকা আহ্‌ছানিয়া মিশন মিলনায়তনে। স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা আহ্‌ছানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক ড. এম এহছানুর রহমান। এরপর প্রয়াত চাঁদ সুলতানার পরিচিতি তুলে ধরেন মিশনের প্রশিক্ষক নাছিমা শাহীন। প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের পরিচিতি তুলে ধরেন মিশনের পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কার্যক্রম সমন্বয়কারী আব্দুর রাকিব। অনুষ্ঠানে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমের ওপর নির্মিত তথ্যচিত্র দেখানো হয়।