Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

গিটারটি ছিল জন্মদিনের সেরা উপহার! -বাপ্পা মজুমদার

আনন্দ আলো: ৫ ফেব্রুয়ারি আপনার জন্মদিন। দিনটি কীভাবে পালন করেন?          বাপ্পা মজুমদার: মা দুনিয়া থেকে চলে যাওয়ার পর থেকে জন্মদিন পালনের বিষয়টা আমি একদমই এনজয় করি না। মাকে ছাড়া এবার আমার পঞ্চম জন্মদিন হবে। ভাবতেই অন্যরকম একাকীত্ববোধ হয়। অদ্ভুত এক শূন্যতা ঘিরে ধরে। তারপরেও বছর ঘুরে আসে জন্মদিন। এ দিনটিতে আমার দাদা, কাছের মানুষ, সঙ্গীতাঙ্গনের বন্ধু-বান্ধরা, ভক্ত শুভানুধ্যায়ীরা উইশ করে। আবার অনেকেই বাসায় কেক নিয়ে আসে। ফুলের তোড়া নিয়ে আসে। নিজের অজান্তেই মনটা তখন খুশি হয়ে উঠে।

আনন্দ আলো: আপনার ছোটবেলার জন্মদিনের কথা বলুন?

বাপ্পা মজুমদার: ছোটবেলায় জন্মদিনে যেটা হতো মা ঘন দুধ দিয়ে পায়েস রান্না করতেন। আমরা সবাই আসন পেতে মেঝেতে বসতাম। মা পাথরের বাটিতে পায়েস বেড়ে দিতেন। আমরা খুব মজা করে পায়েস খেতাম। আমার কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্তটি ছিল সেটি। জন্মদিনের সেরা উপহারও বলতে পারেন।

আনন্দ আলো: জন্মদিনে ভার্চুয়াল উইশ কেমন লাগে?

বাপ্পা মজুমদার: খুবই ভালো লাগে। ফুলের তোড়া, কেক আর শুভেচ্ছা বার্তায় ভরে ওঠে ফেসবুক টাইম লাইন। আমি মনযোগ দিয়ে যখন ভক্তদের শুভেচ্ছা বার্তাগুলো পড়ি তখন আনন্দে মনটা ভরে ওঠে। কি সুন্দর করে ভক্তরা ভালোবাসা প্রকাশ করে। আমার জন্মদিনকে তারা মনে রাখে এবং শত ব্যস্ততার মাঝেও শুভেচ্ছা জানাতে ভুলে না। তাদের ভালোবাসার ঋণ কখনো শোধ হবার নয়। এই ভালোবাসা হয়তো একজন শিল্পীর সেরা অর্জন।

আনন্দ আলো: জন্মদিনকে ঘিরে কোনো স্মরণীয় ঘটনা?

বাপ্পা মজুমদার: জন্মদিনকে ঘিরে অনেক স্মৃতিময় ঘটনা আছে। কোনটা ছেড়ে কোনটা বলব। একটা ঘটনার কথা বলি। কয়েক বছর আগে আমি গান গাইতে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলাম। সেখানে স্টেজ পারফরমেন্স শেষ করে নামার আগ মুহূর্তে প্রবাসী বাবুল ভাই স্টেজে ওঠে আমাকে একটা গিটার উপহার দেয়। সেই ঘটনায় আমি ভীষণ আপ্লুত হয়েছিলাম। এ রকম অনেক টুকরো ঘটনা আছে যেগুলো সত্যিকার অর্থেই স্মরণীয় হয়ে আছে। অসংখ্য ভক্ত শুভানুধ্যায়ীদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছে আমার অনেক জন্মদিন।