Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

কেউ ফুল দিলে ভালো লাগে-রোজী সেলিম

২৪মে অভিনেত্রী রোজী সেলিমের জন্মদিন। কথা হলো গুণী এ অভিনেত্রীর সাথে।

আনন্দ আলো: জন্মদিন কীভাবে পালন করেন?

রোজী সেলিম: আমার জন্মদিনটা এখন মেয়েরা পালন করে। আমি এই দিনটিতে ফ্রি থাকার চেষ্টা করি। শুটিং রাখিনা। সারাদিন বাসায়ই থাকি। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, নাট্যকর্মী, অফিস কলিগ আর শুভানুধ্যায়ীরা জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায়। ফুল নিয়ে আসে। মেয়েরা চাইলে ভালো কোনো রেস্টুরেন্টে গিয়ে সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করে আসি।

আনন্দ আলো: ছোটবেলার জন্মদিন আর এখনকার জন্মদিনের মধ্যে কী পার্থক্য খুঁজে পান?

রোজী সেলিম: ছোটবেলার জন্মদিনে অন্যরকম একটা মজা ছিল। সদস্য সংখ্যার দিক দিয়ে আমাদের পরিবারটা ছিল অনেক বড়।  আমরা অনেক গুলো ভাইবোন ছিলাম। তেমন একটা ঘটা করে আমাদের জন্মদিন পালন করা হতো না। জন্মদিনে বাবা মসজিদে মিলাদ দিতেন। বাসায় ভালো ভালো খাওয়া দাওয়া হতো। সে কারনে ছোটবেলার জন্মদিনের আনন্দ ছিল অন্যরকম। বিশেষ করে বাবা-মায়ের সেই আদর ভোলা যায় না। আর এখন? আমার স্বামী সেলিম আর দুই মেয়ে আমাকে নানা সারপ্রাইজ দেয়। আসলে জীবনের প্রত্যেকটা সময়ই মজার। একেক সময়ের আবেদন একেক রকম।

আনন্দ আলো: সবার আগে জন্মদিন কে উইশ করে?

রোজী সেলিম: আমার হাজবেন্ড সেলিম এবং দুই মেয়ে সবার আগে আমার জন্মদিনে উইশ করে। তারপরে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, কলিগরা উইশ করে আর এখন তো ইন্টারনেটের যুগ। ফেসবুকের কল্যাণে অনেকের কাছ থেকেই শুভেচ্ছা বার্তা পাই।

আনন্দ আলো: জন্মদিনে কী উপহার পেতে ভালো লাগে?

রোজী সেলিম: ছোটবেলার জন্মদিনে নতুন জামা-কাপড় পেতে ভালো লাগত। এখন কেউ ফুল দিলে ভালো লাগে। মানুষের এত ব্যসত্মতার মধ্যে ও একজন আরেকজনকে জন্মদিনে উইশ করে। আমার কাছে এটাই বড় উপহার মনে হয়।