Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

এসো আঁকি দেশে আলো ছড়ানো আনন্দ আলো

সিদ্ধান্ত হয়েছিল ১২ বছরে ১২ জন গুণী সম্পাদক ও সংস্কৃতিকর্মী আনন্দ আলো সম্মাননা পাবেন। তারা হলেন: সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক, বিশিষ্ট সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, মতিউর রহমান চৌধুরী, সুর্বণা মুস্তাফা, আরেফিন বাদল, চিন্ময় মুৎসুদ্দী, শহীদুল হক খান, শাহজাহান চৌধুরী, আবদুর রহমান, অরুণ চৌধুরী, মাজহারুল ইসলাম ও কানিজ আলমাস খান।

সেদিন সত্যি সত্যি আনন্দ আলোর আয়োজনে তারকামেলা জমে উঠেছিল। বিশেষ করে আনন্দ আলো সম্মাননা প্রাপ্ত ১২ জন গুণী ব্যাক্তির হাস্যোজ্বল উপস্থিতি তারকামেলার রঙ ও রুপের দ্যূতি ছড়িয়ে দেয়। সম্মাননা প্রাপ্ত গুণীজনদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন আরও অনেক গুণীজন। তাঁদের মধ্যে সৈয়দ হাসান ইমাম, আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা সৈয়দ হক, কাজী রোজী, রামেন্দু মজুমদার, শাহাবুদ্দীন নাগরী, সৈয়দ আল ফারুক সহ অনেকেই আনন্দ আলোর জন্মদিনে ফুলের শুভেচ্ছা উপহার দেন। এক সময় গানের মূর্চ্ছনায় শুরু হয় সম্মাননা প্রদান পর্ব। আনন্দ আলোর সম্পাদক রেজানুর রহমানের সঞ্চালনায় সম্মাননা পর্বটি সত্যিকার অর্থে তারকার এক মিলন মেলায় পরিণত হয়। এই পর্বে সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক, বিশিষ্ট সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, মতিউর রহমান চৌধুরী, সুবর্ণা মুস্তাফা, আরেফিন বাদল, চিন্ময় মুৎসদ্দী, শাহজাহান চৌধুরী, শহীদুল হক খান, আবদুর রহমান, অরুণ চৌধুরী, মাজহারুল ইসলাম ও কানিজ আলমাস খানের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও উত্তরীয় তুলে দেন যথাক্রমে চ্যানেল আই এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ, ইমপ্রেস গ্রæপের চেয়ারম্যান ও চ্যানেল আই এর পরিচালক আব্দুর রশিদ মজুমদার, সঙ্গীতজ্ঞ আজাদ রহমান, চলচ্চিত্র পরিচালক আমজাদ হোসেন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক, নাট্য ব্যক্তিত্ব তারিক আনাম খান ও বিশিষ্ট উপস্থাপক ফরহাদুর রেজা প্রবাল। সম্মাননা প্রাপ্ত গুণী জনেরা একে একে মঞ্চে উঠে সম্মাননা গ্রহণ করছিলেন আর অনুষ্ঠান মঞ্চে ক্রমান্বয়ে এক বিস্ময়মাখা চিত্রমালা তৈরি হচ্ছিলো। এক সময় ১২ জন গুণী ব্যক্তি ও সম্মানীত অতিথি যখন অনুষ্ঠান মঞ্চে এক সাথে দাঁড়িয়ে যান তখন আনন্দ আর আলোর বন্যায় উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে অনুষ্ঠানস্থল। বিনোদন জগতের এই ১২ গুণী ব্যক্তিত্ব ইতিপূর্বে হয়তো এভাবে এক মঞ্চে উপস্থিত হননি। সে কারনে আনন্দ আর উচ্ছ¦াসের মাত্রাটা যেন একটু বেশীই মনে হচ্ছিল। সেটা মঞ্চে যেমন দর্শক সারীতেও তেমনই দেখা যাচ্ছিল। সম্মাননা প্রদান পর্ব শেষ হতে না হতেই মঞ্চে চলে আসে আনন্দ আলোর জন্মদিনের বিশাল আকারের কেক। অতিথিরা সবাই মিলে আনন্দ আলোর জন্মদিনের কেক কাটেন। এরপর শুরু হয় আনন্দ আলোর জন্মদিনকে ঘিরে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদানের পালা। সম্মাননা প্রাপ্ত গুণী ব্যক্তিরা একে একে বক্তব্য রাখেন। তাঁরা সকলেই আনন্দ আলোর ভ‚য়শী প্রশংসা করে ভবিষ্যৎ কিছু দিক নির্দেশনাও প্রদান করেন।

এসো আঁকি দেশের মুখ। শিরোনামটি যেমন মায়াময় তেমনটাই মায়াময় হয়ে উঠেছিল আনন্দ আলোর একটি বিশেষ কার্যক্রমÑ মেরিডিয়ান আনন্দ আলো জাতীয় শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। মেরিডিয়ান গ্রæপের সৌজন্যে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার এই আয়োজনে প্রধান বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন দেশ বরেণ্য চিত্রশিল্পী সবার প্রিয় হাশেম খান। বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সহায়তা ছিল এই প্রতিযোগিতা আয়োজনে। সারাদেশে প্রাথমিক বাছাই শেষে ঢাকায় বসতো প্রতিযোগিতার গালা রাউন্ড পর্ব। প্রথমবার সারাদেশের প্রায় ২০ হাজার শিশু-কিশোর এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। প্রধান বিচারক হাশেম খান দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে এই প্রতিযোগিতার দেখভাল করেছেন। শিশু-কিশোরেরা তাকে পেয়ে খুবই আনন্দিত হতো। এসো আঁকি দেশের মুখ এই শিরোনামের আলোকেই শিশুদের উদ্দেশে কথা বলতেন প্রধান বিচারকসহ অন্যান্য সুধীজন। বিশেষ কারণে হঠাৎই প্রতিযোগিতাটি থেমে যায়। আশার কথা, অচিরেই শুরু হবে শিশুদের সেই হৃদয় ছোঁয়া চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাÑ এসো আঁকি দেশের মুখ। ছোট্ট বন্ধুরা, তোমরা তৈরি হয়ে যাও। আবার আমরা দেশের ছবি আঁকব সবাইমিলে। আশা করা যায় সবার প্রিয় হাশেম খান এবারও আমাদের সঙ্গে থাকবেন।