Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

এবার মিশন সাউথ আফ্রিকা! আসল খেলা টা ২২ গজের…

জুটি গড়তে টাইগার দুই ব্যাটসম্যান ক্রিজে। গোটা দেশের মানুষ আশায় বুক বেঁধে যে যেভাবে পেরেছেন বসেছেন টিভির সামনে। আশার সবটুকুতে চাওয়া জিতুক বাংলাদেশ। বোলারের রান আপ নেয়া শুরু হতেই বুকের ভেতর ধড়ফড় হতে থাকা। মুহূর্ত পেরুলেই নিঃস্তব্ধ সবকিছু। সামনের দিকে পা বাড়িয়ে খেলতে গিয়ে ¯িøপে দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডারের তালু বন্দি আমাদের সোনার ধন। ক’ মিনিটেই আবারো নতুন স্বপ্ন বোনা শুরু। আগের জন পারেনি তাতে কি এবার নিশ্চিত ও পারবে। নি:স্তব্ধ গ্যালারীর মানুষগুলো  আবারো চিৎকার করতে শুরু করে বাংলাদেশ, বাংলাদেশ…। একে একে আমাদের আশার আলোগুলো নিভতে থাকে আর আমরা একটু  একটু করে ছিটকে যাই ম্যাচ থেকে। শেষে ক্লান্ত শ্রান্ত দেহে হেরেই বাড়ি ফেরা। সেদিন আর নেই। সেই বাংলাদেশ আর এই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এখন আকাশ সমান তফাত। তফাত টা ইতিবাচক। বিশ্বের সব দলের জন্য এখন চিন্তার বিষয় টিম টাইগার্সরা।

খুব কাছের অতীত সময়টিতে বিশ্বের সবচেয়ে অহংকারী ক্রিকেট দল অস্ট্রেলিয়াকে টিম টাইগার্স প্রথম টেস্টেই হারিয়েছে। সিরিজ জয়ের নোঙর গাড়তে না পারলেও সিরিজটা জিইয়ে রেখেছে সমতায় রেখে। অজিদের ভ্রুকুঞ্চন এর যুতসই জবাব দিয়েছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশে খেলতে আশার আগে অজিদের দম্ভ দেখেছে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। নানান অজুহাতে বাংলাদেশের সঙ্গে না খেলতে চেয়ে বারংবার পেছানো হয়েছে সিরিজ। কখনো নিরাপত্তা, কখনো আবহাওয়া, কখনো বিশ্রাম নিতে চাওয়া কত কিছুই না করতে হয়েছে তাদের! স্বাভাবিক ভাবে বোঝাই যাচ্ছিল অজিরা ভয়েই সফর করছে না বাংলাদেশ! না না নিরাপত্তা বিষয়ে নয় হেরে যাবার ভয়ে। হলোও তাই। টেস্টে বাংলাদেশের সঙ্গে হেরে যাওয়ায় খোদ অস্ট্রেলিয়ান পত্রিকাগুলোই ছাড় দেয়নি তাদের। অস্ট্রেলিয়ানরা এই পরাজয়কে নিজেদের জন্য লজ্জার বলে স্বীকার করেছিলেন। খুব স্বাভাবিক বিষয় যে দল খেলায় জয় পায় তার জন্য যেমন গর্বের বিষয় অন্যদিকে যারা পরাজিত হয় তাদের জন্য এটি লজ্জার।

সম্পর্কিত

আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর টিম টাইগার্স উড়বে সাউথ আফ্রিকার উদ্দেশ্যে। ২টি টেস্ট ৩ টি ওয়ান ডে ও ২টি টি/ টুয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ।২০১৬ সালে বাংলাদেশে আয়োজিত সিরিজের ধারাবাহিকতা রাখতেই বোধকরি এই আয়োজন। সেবার দুটি টেস্ট হয়েছিল ড্র। আর ৩ ওয়ান ডে তে ২-১ ব্যবধান এ সিরিজ জয় করেছিল বাংলাদেশ। দুটি টি/২০ তে জয় পেয়েছিল সাউথ আফ্রিকা। টেস্ট ওয়ান ডে মিলিয়ে প্রতিশোধ টাই নিতে চাইবে তারা। এরই মধ্যে হাক ডাক উঠিয়েছে বাংলাদেশ দলকে তারা বাউন্সি উইকেট উপহার দেবে।

চ্যালেঞ্জ:

মানসিক ও শারীরিক চাপ কমাতে বিসিবিতে ছয় মাসের ছুটির আবেদন করেছিলেন নাম্বার ওয়ান সাকিব আল হাসান। বোর্ড তার ছুটির আবেদন মঞ্জুর করায় ক্রিকেট বিশ্বে জন্ম নিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সাকিব অবশ্য তার ছুটির কারণ জানিয়েছেন সাবলিল ভাবেই। বলেছেন টানা সময় ক্রিকেট খেলতে খেলতে কিছুটা ক্লান্ত বোধ করছেন। তাই চেয়েছেন ৬ মাসের ছুটি। আরো জানিয়েছেন আগামী ৫ বছর যাতে আবারো একটানা খেলে যেতে পারেন এ জন্যই এমন সিদ্ধান্ত। আরো জানান ওয়ান ডে, টি/২০ র পর টেস্ট থেকে অবসর নিতে চান। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার না থাকায় সাউথ আফ্রিকার জন্য এটি যেমন সুখবর, পাশাপাশি টিম টাইগার্সদের জন্য সিরিজটি হবে চ্যালেঞ্জিং। সাকিব মনে করেন সাকিব না থাকলেও বাংলাদেশ দল ভালো করবে। গেইম প্লান অনুযায়ী খেলতে পারলেই জয় পাবে বাংলাদেশ।

 

রিয়াদের ফেরা

সাকিব ছুটি চাওয়ায় জায়গাটি পূরণ করছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। বাংলাদেশ দলের চলমান ধারা অনুযায়ী যোগ্যতার মাপকাঠিতে আরেক সাকিব না পাওয়া গেলেও, একজন ডিপেন্ডেবল পাওয়া গেল দলে। ক্রিকেটের ভাষায় বাম হাতি স্পিনার অলরাউন্ডার আর ডান হাতি স্পিনার অলরাউন্ডার কখনোই এক নয়। বাউন্সি উইকেট এর চরিত্র পাল্টাতে সময় নেয়। কখনো কখনো একরকম থেকে যায়। এতে বেশ সুবিধা পান পেসাররা আর পান বাম হাতি স্পিনাররা। যেখানে সাকিবকে মিস করবেন অধিনায়ক রহিম।

সৌম্যর জন্য শেষ সুযোগ

টিম টাইগার্সদের অত্যাবশ্যকীয় টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান সৌম্য তার ব্যাটের আভা তেমন ছড়াতে পারছেন না। যা জানে প্রোটিয়াসরাও। সৌম্যের জন্য বিষয়টি তখনই হবে জটিল যখন তার পারফরমেন্সটা ধারাবাহিকতা বজায় রেখে নষ্ট হবে। প্রোটিয়া শিবির অবশ্যই সৌম্যের ক্রিকেট ভবিষ্যতে আঘাত হানার সম্পূর্ণ চেষ্টা করবেই। ক্রিকেট বিশ্বের প্রতিটি দল বাংলাদেশ দলের রিস্ক ফ্যাক্টরগুলো নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করেই তাদের গেইম প্লান সাজায়। কন্ডিশন সাজায়। কলকাতার দাদাগিরি অনুষ্ঠানে সৌরভ গাঙ্গুলী বলেছিলেন ভারতের মাটিতে অস্ট্রেলিয়াকে সিরিজ খেলতে ডাকা হলে দাদা প্রথম ম্যাচটি কোচিতে আর অন্য ম্যাচগুলো রাজস্থান, বিশাখাপাত্তাম এ খেলানোর জন্য বোর্ডকে জানাতেন। কারণ ছিল কোচি অত্যন্ত গরম একটি জায়গা। তেমনি রাজস্থান। আর বিশাখাপাত্তাম নেয়া হতো যাতে অজিরা ফিরে যাবার আগে খানিক নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ায় স্বস্তি পায়। কন্ডিশনের সঙ্গেমানিয়ে নিতেই টেস্ট জয় পেয়ে যেতো ভারত। বিশ্বের সবকটি ক্রিকেট খেলুরে দেশ এখন কন্ডিশন নিয়ে অনেক বেশি ফোকাসড। তাই বলাই যায় কন্ডিশন আর সাকিব না থাকায় বেশ এগিয়ে থাকবে প্রোটিয়ারা। সঙ্গে যদি সৌম্য ধারাবাহিক ভাবে বাজে খেলেন তাহলে তো পুরো সিরিজটাই হুমকির মুখে পড়ে যাবে।

মোমিনুলকে খেলতে হবে

দলের রিলায়েবল এবং কন্সিস্টেন্ট খেলোয়াড় মোমিনুল। এই সিরিজে তার সুযোগ পাওয়াটা টাইগার্সদের জন্য সুখবর। ভালো কিছু তার কাছ থেকে পেতে চাইলে ব্যাটিং লাইনে উপরে ওঠাতে হবে তাকে। প্রোটিয়া বোলাররা খুব উপর দিয়ে বল করলে তা স্বাভাবিক ভাবে ছেড়ে দিতে কোন কষ্ট হবে না মোমিনুলের। উইকেট নিতে হলে বাধ্য হয়েই ব্যাটসম্যানকে প্লেয়িং এরিয়ায় বল করে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে খুব লম্বা না হওয়ায় মোমিনুল বেনিফিটটা নিতে পারবেন সহজেই।

মোস্তাফিজ-এর জন্য সুখবর

Mostafizur-Rahmanযে ফাদে প্রোটিয়ারা টাইগার্সদের ফেলতে উদগ্রীব সুখবরটা সেখানেই। বাউন্সি উইকেটে মোস্তাফিজ তার কাটার এর সুযোগটা হয়তো পাবেন না। তবে ¯েøায়ার গুলো কাজ করবে অবশ্যই। প্রোটিয়াদের জন্য মোস্তাফিজ একটি রিস্ক ফ্যাক্টর। তা জেনেই প্রতি ওভারে ফিজের বল কোথায় কখন কীভাবে টার্ন নেয় তা হিসেবের খাতায় উঠে গেছে। তাদের চাওয়াটাই থাকবে ফিজের মানসিকতায় চিড় ধরানো। উইকেট-এর খোঁজ করতে গিয়ে ফিজ যেন এদিক সেদিক করে ভুলে যায় তার লাইন। সে ফায়দাটাই নেবার শতভাগ চেষ্টা করবে তারা। আই পি এল-এর রঙিলা বাতাস ফিজের দ্য ফিজ বনে যাওয়ায় আঘাত হেনে ফেলেছে তা বুঝে ফেলেছে ক্রিকেট বিশ্ব।

 

হেড টু হেড সাউথ আফ্রিকা ও বাংলাদেশ

প্রথম টেস্ট ২০০২ সালে হয়। সেবার ম্যাচ হয়েছিল দুটি। বাংলাদেশ দুটিতেই হেরে যায়। ২০০৩ এ চট্টগ্রামে ও ঢাকায় দু দলের মধ্যে আরো দুটি টেস্ট ম্যাচ হয়। দুটি ম্যাচেই বাংলাদেশ ইনিংস পরাজিত হয়। ২০০৭ এ ঢাকায় পুনরায় দুটি টেস্ট ও ৩টি ওয়ান ডে অনুষ্ঠিত হয়। পুরো সিরিজ টি জয় লাভ করে প্রোটিয়ারা। ২০০৮ এ বাংলাদেশ সাউথ আফ্রিকা গেলে সেখানেও ২টি টেস্ট ও ২টি ওয়ান ডে অনুষ্ঠিত হয়। এবারো পুরো সিরিজ হেরে আসে টিম টাইগার্স। ২০১৫ সালের শেষের দিকে একটি পূর্নাঙ্গ সিরিজ খেলতে আসে প্রোটিয়ারা। যেখানে টেস্ট ম্যাচ হয়েছিল ২টি। ফলাফল ছিল ড্র। প্রথম বারের মতো টিম টাইগার্সদের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা। ৩টি ওয়ান ডের মধ্যে টাইগার্সরা ২-১ এ সিরিজ জয় লাভ করে। ২ টি টি/ ২০ তে প্রোটিয়ারা জয় পায় দুটিতে। খালি হাতে না ফিরে সিরিজে সমতা নিয়ে ফিরে যায় তারা। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে অনুষ্ঠিতব্য সিরিজটিও ২০১৫ -১৬ আদলেই সাজানো।  টেস্ট ম্যাচ ২টি। ওয়ান ডে ৩টি। আর টি/২০ দুটি।

 

বিশ্রাম নিয়ে সাকিব যা বললেন

Shakib-Al-Hasan-1সাকিব আল হাসানের বিশ্রাম নিয়ে গত কিছুদিনে বেশ হইচই দেশের ক্রিকেটে। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের ছুটি নিয়ে এরই মধ্যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিসিবির দায়িত্বশীল কর্তারা। কিন্তু সাকিবের কথাও তো শোনা দরকার।

বিশ্রামের ভাবনাটা হুট করে নয়। সাকিব এটা ভেবেছেন অনেক আগে থেকেই। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে আলোচনা করেছেন কাছের মানুষদের সঙ্গে। জানালেন, অনেক ভেবেই সিদ্ধান্তটা নিয়েছেন, ‘যেহেতু অনেক বেশি খেলা হয়, মানসিকভাবে চাঙা থাকার যে ব্যাপারটি আছে, সেটি হয় না। এমন তো নয়, দু-এক দিন খেলেই ছেড়ে দিচ্ছি। ১০-১১ বছর হয়ে গেল, একটা বিরতি তো নিতেই পারি। এটা আমার পাওনা।’

টানা ক্রিকেট খেলতে খেলতে ক্লান্তির কথা বলে টেস্ট ক্রিকেট থেকে ছয় মাসের ছুটি চেয়েছিলেন সাকিব। বিসিবি আপাতত তাঁকে ছুটি দিয়েছে শুধু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্য। ছুটির বিষয়টা বিসিবিকে বোঝাতে খুব একটা কষ্ট হয়নি সাকিবের। যেহেতু ছয় মাসের ছুটি চেয়েছিলেন, ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে ফিরবেন তো? সেটি এখনই বলতে পারলেন না তিনি, ‘ওটা এখনো ঠিক করিনি। আপাতত ছুটি দুই টেস্টের। এটা নিয়েই খুশি। তখন যদি মনে হয় খেলতে পারব খেলব।’

কন্ডিশন ও প্রতিপক্ষ বিবেচনায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটা বাংলাদেশের জন্য অগ্নিপরীক্ষা। ছুটিটা তাই এই সিরিজের পরও নিতে পারতেন সাকিব। কেন সেটি এখনই জরুরি হয়ে পড়ল, সেটির যুক্তি দিলেন সাকিব, ‘পরে নিলেও যদি হতো, তাহলে পরেই নিতাম। আমার কাছে মনে হলো, এখনই বিশ্রামের উপযুক্ত সময়। সবার মতের সঙ্গে মতের মিল হবে না, এটাই স্বাভাবিক। আপনি আমার অবস্থানে থাকলে হয়তো আমার অবস্থাটা বুঝতে পারতেন।’

টেস্ট থেকে দূরে থাকার দৃষ্টান্ত ক্রিকেটে যথেষ্ট আছে। ওয়ানডে, আন্তর্জাতিক ও ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি নিয়ে ব্যস্ত অথচ বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেট থেকে দূরে থাকায় তাঁরা সমালোচিত কম হননি। সাকিবও একই পথে হাঁটছেন কি না, এই প্রশ্নে বাঁহাতি অলরাউন্ডার অবাকই হলেন, ‘এই যে ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টিতে বিশ্রাম নিলাম না বা বাইরের কোনো টি-টোয়েন্টিতে কেন বিশ্রাম নিলাম না, এই প্রশ্নগুলো যখন ওঠে, অবাকই লাগে। বাইরের টি-টোয়েন্টিতে কোনো চাপ নেই। অনেকটা ছুটি কাটানোর মতো। আর্থিক দিকটা অবশ্যই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। টেস্টে যেহেতু ব্যাটিং-বোলিং দুটিই করি। চার ইনিংসেই আমাকে অবদান রাখতে হয়। অর্ধেক দিলাম, অর্ধেক দিলাম তাহলে দলের চাহিদা পূরণ করতে পারলাম না। যখন চারটি ইনিংসে ভালো করতে পারব, তখনই সেরা সময় খেলার।’

সাকিবের হাত ধরে একটা রীতির বোধ হয় গোড়াপত্তন হয়ে গেল দেশের ক্রিকেটে। খেলতে খেলতে যখন ক্লান্তি এসে যাবে, চাইলেই বিশ্রাম নিতে পারবেন খেলোয়াড়রা। সাকিব যদিও এতে খারাপ কিছু দেখছেন না, ‘যদি কখনো কারও মনে হয় যে খেলা বেশি হয়ে যাচ্ছে, একটি বিরতি দরকার, আমি মনে করি তাদের অবশ্যই মন থেকে বলা উচিত। এতে ক্যারিয়ার আরও ভালো হতে পারে। ধরুন, এখন ইচ্ছে হচ্ছে না, তবু জোর করে খেললাম, দুই টেস্ট খারাপ খেললে আপনারাই বলবেন ওকে বাদ দেয়া হোক। কী দরকার আছে?’

সাকিবকে ছাড়াই প্রোটিয়াদের বিপক্ষে বাংলাদেশ যে পিছিয়ে থাকবে, পরশু সেটি দল ঘোষণার সময় স্বীকার করে নিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন। তবে সাকিব মনে করেন না, তাঁর অনুপস্থিতি খুব একটা প্রভাব ফেলবে দলে। বাংলাদেশ ভালো করবে, এটাই আশা বাঁহাতি অলরাউন্ডারের, ‘দুনিয়াতে কোনো কিছুই কারও জন্য অপেক্ষা করে না। মন থেকে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ অনেক ভালো করবে দক্ষিণ আফ্রিকায়। যে ধারাটা আছে, সেটা ধরে রাখবে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরটা সবার জন্য চ্যালেঞ্জিং, সবার তাই বাড়তি চেষ্টা থাকবে ভালো করার।’

 

কেন এই বিশ্রাম

আমার আরও অনেক দিন খেলার বাকি। এই সময়ে যদি ভালো খেলতে চাই, বিশ্রামটা আমার জরুরি। চাইলেই খেলতে পারি। এখন আপনারা কী চান? পাঁচ-সাত বছর খেলি, নাকি দুই বছর খেলি! যদি এভাবে খেলতে থাকি, এক-দুই বছর পর ওভাবে খেলতে পারব না।

 

যে কারণে টেস্টে

সীমিত ওভারের ক্রিকেট এক দিন কিংবা তিন ঘণ্টার হয়। টেস্ট পাঁচ দিনের হয়। এটার জন্য প্রস্তুতি আরও ১০-১৫ দিনের। একটা টেস্ট সিরিজ যদি বিশ্রাম নেন, এক মাসের বিরতি পাবেন।…আমার একটু বড় বিরতি দরকার।

 

যেভাবে ছুটি কাটাবেন

পরিবারের সঙ্গে সময় দেয়া, ঘুরতে-টুরতে যাওয়া, পরিবার-বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেয়া…। মাঝেমধ্যে ক্রিকেট থেকে বাইরে থাকা খুবই জরুরি। চেষ্টা থাকবে যত বেশি সম্ভব ক্রিকেটের বাইরে থাকতে।