Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

একটা হলেও হলিউডের ছবি করতে চাই-ফেরদৌস

দুই দশকেরও বেশি চলচ্চিত্র জীবন ফেরদৌসের। ১৯৯৮ সালে ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ ছবিতে নায়ক হিসেবে ঢালিউডে পথচলা শুরু করেন। এপার বাংলা ও ওপার বাংলার চলচ্চিত্রে বেশ জনপ্রিয় তিনি। বর্তমানে বেশ কয়েকটি নতুন ছবির কাজ করছেন। মুক্তির অপেক্ষায় আছে তাঁর অভিনীত বেশ কিছু ছবিও। অভিনয়ের পাশাপাশি তারকা খোঁজার বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিচারকের দায়িত্বও পালন করেছেন। চ্যানেল আইয়ের সেরা নাচিয়ে প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন। এবার তিনি ‘মেনস ফেয়ার এন্ড লাভলী চ্যানেল আই হিরো কে হবে মাসুদ রানা’ এই রিয়েলিটিশোর অন্যতম বিচারকের দায়িত্ব পালন করবেন। সম্প্রতি চিত্র নায়ক ফেরদৌস ও রিয়াজ প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হয়ে আমেরিকায় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৩ তম অধিবেশনে যোগ দেন। কয়েকদিন আগে নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন আনন্দ আলোর সঙ্গে। তারই চম্বুক অংশ তুলে ধরা হলো। লিখেছেন মোহাম্মদ তারেক।
আনন্দ আলো: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৩ তম অধিবেশনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর সঙ্গী হয়ে আমেরিকায় যাচ্ছেন। প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হতে পেরে কেমন লাগছে?
ফেরদৌস: এটা আমাদের জন্য বিরাট একটি পাওয়া। সম্ভবত এই প্রথম চলচ্চিত্রের কেউ প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হতে পেরেছে। আমার মনে হয় এই বিষয়টি শুধু আমাদের দু’জনের জন্য নয়, পুরো চলচ্চিত্র পরিবারের জন্য বিরাট সম্মানের।
আনন্দ আলো: মেনস ফেয়ার এন্ড লাভলী চ্যানেল আই হিরো কে হবে মাসুদ রানা? এই রিয়েলিটিশোর বিচারকের দায়িত্বে আছেন। এ বিষয়ে কিছু জানতে চাই?
ফেরদৌস: এরকম একটি অনুষ্ঠানের বিচারক হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। চ্যানেল আইকে অনেক ধন্যবাদ। তারা আমার উপর বিশ্বাস রেখে মাসুদ রানা খোঁজার ক্ষেত্রে বিচারকের দায়িত্বটা দিয়েছেন। তারা আমার উপর আস্থা রেখেছেন। আমিও চেষ্টা করব আমার শতভাগ দিয়ে জাস্টিফাই করতে। মাসুদ রানা আমাদের প্রজেন্মের, আমাদের আগের প্রজন্মের, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের সবার কাছে একটি স্বপ্নের চরিত্র। বাংলাদেশের একমাত্র সুপার হিরো। মাসুদ রানা সিরিজের শত শত বই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষ পড়ে কাল্পানিক একটা জগৎ তৈরি করেছে। সেই হিসেবে এটা খুব কঠিন একটা কাজ। আমি আর পূর্ণিমা মিলে চেষ্টা করব যে স্বপ্নের কাছাকাছি সেই মাসুদ রানাকে খুঁজে বের করতে।
আনন্দ আলো: এর আগে আপনি নাকি মাসুদ রানা চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন?
ফেরদৌস: বছর দশক আগে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম থেকে পরিচালক (বিপণন) ইবনে হাসান খান আমাকে মাসুদ রানা চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। তিনি জানিয়েছিলেন, বড় পরিসরে সিনেমাটি বানানো হবে। বিষয়টা বেশি দূর এগোয়নি। একজন অভিনেতার কাছে মাসুদ রানা চরিত্রটি খুবই লোভনীয়। নায়ক মাত্রই এমন একটি চরিত্রের জন্য অপেক্ষা থাকে।
আনন্দ আলো: মাসুদ রানা চরিত্রের প্রতি লোভ ছিল আপনার?
ফেরদৌস: এই চরিত্রের প্রতি আমার লোভ ছিল, আছে এবং থাকবে। একজন নায়কের ক্ষেত্রে এমন একটি চরিত্র থেকে লোভ শিফট হওয়ার কথা না।
আনন্দ আলো: চলচ্চিত্রে আপনার ভালো লাগার চরিত্রের জন্য কখনো চেষ্টা করেছেন?
ফেরদৌস: আমাদের এখানে আসলে শিল্পীদের ট্রাই করার কোনো সুযোগ নেই। নির্মাণ প্রতিষ্ঠান গুলো যদি আমাদের নিয়ে চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করাতে চাইত তাহলে হয়তো কিছু করা যেত। আমাদের ক্ষেত্রে সব সময়ই পরিচালক- প্রযোজকেরা নামটা ব্যবহার করেছেন। আমাদের প্রজন্মের মধ্যে মৌসুমী, পূর্ণিমা, রিয়াজ সহ অনেককে দিয়ে চাইলে বৈচিত্রময় চরিত্রে কাজ করানো যেত। কিন্তু কোনো পরিচালক প্রযোজক তা ভাবেননি। আমার ও মৌসুমীর লোক ধাঁচের ছবি ‘খায়রুন সুন্দরী’ হিট হওয়ার পর সবাই আমাদের নিয়ে একই ধরনের ছবি বানানো শুরু করলো।
আনন্দ আলো:আচ্ছা মাসুদ রানাকে খোঁজার সময় কোন ভাবনা কাজ করবে?
ফেরদৌস: একটা সময় যেহেতু আমাকে নিয়ে মাসুদ রানা ভাবা হয়েছে, তার মানে সেই যোগ্যতা আমার ছিল এবং আছে। আমি এমন একজনকে খুঁজে বের করব যে আমার চেয়েও ভালো। আমাকে যদি মাসুদ রানার রোল মডেল হিসেবে দাঁড় করাই, তাহলে আমার চেয়ে সুদর্শন, আমার চেয়ে উঁচু লম্বা সব মিলিয়ে চেষ্টা করব এ রকম একটা জায়গা থেকে খুঁজে বের করতে। অবশ্য এটা কঠিন ব্যাপার।
আনন্দ আলো: কাজটা আপনার কাছে খুব কঠিন মনে হচ্ছে?
ফেরদৌস: বেশ দূরূহ কাজ। আশা করব মেধাবী তরুণেরা এই রিয়েলিটি শোতে নাম লেখাবে। এখন কিন্তু চার পাশে অনেক স্মার্ট তরুণের দেখা পাই। বিশ্বায়নের এই যুগে তারা পাল্লা দিয়ে নিজেদের ডেভেলপ করছে। মাসুদ রানা তৈরির ব্যাপারটি এখন আরও অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ আমরা এখন জেমস বন্ড, মিশন ইমপসিবল সহ অনেক সুপার হিরো দেখে অভ্যস্ত। এ ক্ষেত্রে নির্মাতাদের অনেক সচেতন হতে হবে। শুধু একজন মাসুদ রানাকে খুঁজে বের করলে হবে না। মাসুদ রানাকে সঠিক ভাবে উপস্থাপন করাই হচ্ছে আসল ব্যাপার। নির্মাণের দিকটি অনেক বেশি সময়োপযোগী হতে হবে। নির্মাণের মাধ্যমেই মাসুদ রানাকে ফুটিয়ে তুলতে হবে।
আনন্দ আলো: ফেরদৌস ও নিঝুম রুবিনা জুটির প্রথম চলচ্চিত্র ‘মেঘকন্যা’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এই ছবির গল্প সম্পর্কে জানতে চাই?
ফেরদৌস: মিনহাজুল অভি পরিচালিত ‘মেঘকন্যা’ ছবিটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে ১২ অক্টোবর। ছবিটিতে আমার বিপরীতে অভিনয় করেছেন নতুন নায়িকা নিঝুম রুবিনা। মেঘকন্যা পুরোপুরি পারিবারিক গল্পের ছবি। বলতে পারি পুরোটাই ফ্যামিলি ড্রামা। এর ফাঁকে রয়েছে প্রেম-দুঃখ। গল্পটা খুবই সুন্দর। ছবির গানগুলোও চমৎকার। এ ছবিটি নিয়ে আমরা অনেক শ্রম ব্যয় করেছি। আমার বিশ্বাস কাজটি সবার ভালো লাগবে।
আনন্দ আলো: কো-অ্যাক্টর হিসেবে নিঝুম সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?
ফেরদৌস: নতুন নায়িকা নিঝুম রুবিনার সঙ্গে এটি আমার তৃতীয় কাজ। এর আগে ‘লিডার’ ও ‘পোষ্টমাস্টার ৭১’ ছবি দুটিতে নিঝুমের সাথে কাজ করেছি। ছবি গুলো এখনো মুক্তি পায়নি। আমার সব সময় ভালো লাগে নতুনদের সঙ্গে কাজ করতে। ওদের কাছ থেকে আমি নিজেও কিছু শিখতে পারি। নিঝুমের সাথে আমার বোঝাপড়াটা খুবই ভালো। ও ভালো অভিনয় করে। ওর ভেতরে শেখার আগ্রহটা সবচেয়ে বেশি। তার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে মনে হয়েছে নতুনদের মধ্যে সে সম্ভাবনাময়ী। মনোযোগ দিয়ে কাজ করলে সে অনেক দূর যেতে পারবে।
আনন্দ আলো: মেঘকন্যা ছবিটি নিয়ে আপনি কতটা আশাবাদী?
Ferdousফেরদৌস: দর্শক ভালো গল্পের ছবি দেখতে চায়। মেঘকন্যা তেমনই এক ভালো গল্পের ছবি।
আনন্দ আলো: জ্যাম ছবির গল্পটা কেমন?
ফেরদৌস: যানজটে আমাদের দৈনন্দিন জীবন যে কতটা দূর্বিষই হয়, তাই দেখানো হবে এই ছবিতে। ছবিতে আমি বিদেশ থেকে আসব। আমাকে বিমান বন্দর থেকে আনতে যাবেন পূর্ণিমা। আপাতত এতটুকুই থাক। বাকিটুকু পর্দায় দেখি।
আনন্দ আলো: এই সময়ে ব্যস্ততা কী নিয়ে?
ফেরদৌস: এখন ‘বিউটি সাকার্স’, ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ ছবি দুটির শুটিং চলছে। মুক্তির অপেক্ষায় আছে পোস্টমাস্টার ৭১, গন্তব্য, পবিত্র ভালোবাসা ছবি গুলো। তিনটি ছবির কাহিনী তিন ধরনের। এসব ছবিতে আমার বিপরীতে অভিনয় করেছেন মৌসুমী ও নিঝুম রুবিনা।
আনন্দ আলো: লন্ডনে আপনি একটি ছবিতে অভিনয় করছেন। সে ছবির কাজ কতদূর এগিয়েছে।
ফেরদৌস: কিছুদিন আগে লন্ডনে ‘যদি আর একটু সময় পেতাম’ নামের একটি চলচ্চিত্রের শুটিং করলাম। প্রথম ধাপের শুটিং শেষ। এ ছবির বাকি কাজ বাংলাদেশে হবে। ছবিতে আমার বিপরীতে একজন বিদেশি নায়িকা অভিনয় করছেন।
আনন্দ আলো: আপনি বাংলাদেশ ও কলকাতা মাতিয়ে এখন লন্ডন অবধি পৌঁছে গেছেন। থামবেন কোথায়?
ফেরদৌস: হা হা হা। হলিউড পর্যন্ত গিয়ে থামব। হলিউডের একটা ছবি করতে চাই। দেখুন, আমি এত দিন কলকাতার ছবিতে কাজ করলাম বলেই সবাই আমার দেখানো পথে হাঁটছেন। একটা সময় অভিযোগ ছিল, ওখানে তো ফেরদৌসকে ছাড়া কাউকে চিনেনা। এখন আর সেই অভিযোগের সুযোগ নেই।
আনন্দ আলো: আপনার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে নতুন ছবির কাজ শুরু করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে?
ফেরদৌস: আমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান নুজহাত ফিল্মস থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের উপন্যাস ‘গাঙচিল’ অবলম্বনে একই নামে একটি ছবি নির্মাণ করবেন নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূল।
আনন্দ আলো: সরকারি অনুদানের ছবি বিউটি সার্কাস এর খবর কী?
ফেরদৌস: এ ছবিতে আমার বিপরীতে জয়া আহসান অভিনয় করেছেন। অনেক বড় একটি সেটে কাজ হয়েছে। এত বড় সেট আমাদের ফিল্মে অনেক দিন পর দেখলাম। একে তো অনুদানের ছবি, তাও আবার বিষয় ভিত্তিক… ভালো লেগেছে কাজটি করে। এছবিতে দর্শক বিনোদনের মধ্য দিয়ে আমাদের সার্কাস শিল্প ও সমাজের কিছু চিত্র দেখতে পাবেন। ছবিটি পরিচালনা করেছেন মাহমুদ দিদার।
আনন্দ আলো: ‘গন্তব্য’ চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে জানতে চাই।
ফেরদৌস: ভিন্ন ধরনের গল্প। ছয় বন্ধু মিলে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ এবং সেই চলচ্চিত্রটি সারা দেশে প্রদর্শন করানোর ঘটনা নিয়ে গড়ে উঠেছে এ ছবির কাহিনী। গল্পে আছে দুটি ভাগ। একটি শহরের অন্যটি গ্রামের। রোমান্টিক ধাঁচের ছবি তো অনেক হলো। আরো হবে। কিন্তু এখন গতানুগতিকতা থেকে বের হয়ে কাজ করতে চাই। সেই দৃষ্টি ভঙ্গি থেকে এটি হচ্ছে আমার মনের মতো একটি ছবি। এটি পরিচালনা করেছেন অরণ্য পলাশ। এতে আমার বিপরীতে অভিনয় করছেন আইরিন।
আনন্দ আলো: ইমপ্রেস টেলিফিল্ম এর পোস্ট মাস্টার ৭১ ছবির কী খবর?
ফেরদৌস: চ্যানেল আইয়ের সহযোগিতায় এটা আমার প্রযোজনায় দ্বিতীয় ছবি। মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট নিয়ে নির্মিত হয়েছে এ ছবির কাহিনী। মুক্তিযুদ্ধের সময় একজন পোষ্ট মাস্টারের একটি প্রেম কাহিনী উঠে এসেছে ছবিতে। ছবিটি ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মুক্তি দেয়া হবে। আমি খুব বেছে বেছে ভিন্ন ধরনের ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করি। যে ছবির গল্প অনেক ভালো, দর্শকের হৃদয় স্পর্শ করবে, তেমন ছবিতেই অভিনয় করি। কারণ আমার কাছে মনে হয় একজন অভিনয় শিল্পীর প্রতিটি কাজই চ্যালেঞ্জ নিয়ে করতে হয়।
আনন্দ আলো: ছবির গল্পের গ্রহণযোগ্যতা কী ইঙ্গিত দেয়?
ফেরদৌস: মনে হচ্ছে দর্শকের রুচির পরিবর্তন ঘটছে। তারা ঘরে বসে মোবাইল আর ইন্টারনেটে নতুন ধারার ছবি দেখছে। এই দেখা তাদের জীবনবোধ সম্পর্কে নতুন করে ভাবাচ্ছে। গতানুগতিক ধারার বানিজ্যিক ছবি, যে গুলোতে জীবন বোধের ছায়া নেই সে গুলো তারা প্রত্যাখ্যান করছে আর জীবন চিত্রকে মনেপ্রাণে জড়িয়ে নিচ্ছে। এই চিত্র এখন হলিউড-বলিউড-টলিউড সব জায়গাতেই। কলকাতার বেলাশেষে, প্রাক্তন, অটোগ্রাফ, বাইশে শ্রাবণের মতো ছবিগুলোর সফলতা সেটাই প্রমাণ করে।
আনন্দ আলো: আমাদের দেশে হাতে গোনা সিনেপ্লেক্স দিয়ে এসব ছবির সাফল্য কতটা নিশ্চিত করা যাবে?
ফেরদৌস: সরকার দেশ জুড়ে সিনেপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এই উদ্যোগ এ ধরনের জীবন ঘনিষ্ঠ ছবির সাফল্যকে তরান্বিত করবে বলে মনে করি।
আনন্দ আলো: সামনে নতুন কোনো ছবির কাজ করছেন কী?
ফেরদৌস: সামনে দুটি নতুন ছবির কাজ শুরু করছি। ছোট পর্দার পরিচিত নির্মাতা অঞ্জন আইচ পরিচালিত একটি ছবিতে কাজ করব। প্রাথমিক ভাবে ছবির নাম রাখা হয়েছে রূপবর্তী। এই ছবির বড় শক্তি গল্প। গল্পটা শোনার পর রাজি হতে সময় লাগেনি। ছবিতে আমার বিপরীতে অভিনয় করবেন প্রভা। এটা পুরোপুরি বিনোদনে ভরপুর ছবি।
আনন্দ আলো: নিজের পোশাক কী নিজেই ডিজাইন করে বানান?
ফেরদৌস: হ্যাঁ। আমার পোশাক নির্বাচন করে দেওয়ার কিছু পরিচিত ডিজাইনার রয়েছে। যারা সিনেমার চরিত্র অনুযায়ী পোশাক ডিজাইন করে দেয় এবং ওদের সাপোর্ট নিয়ে আমি চেষ্টা করি যখন যে দেশে যাই সে দেশে থেকে স্পেশাল কিছু পোশাক নিয়ে আনার। সেগুলো আমি ব্যক্তিগত ভাবে ব্যবহার করি।
আনন্দ আলো: অবসরে আপনার প্রিয় শখ?
ফেরদৌস: বর্তমান সময়ে আমার অবসর কাটে তিনজন মানুষকে নিয়ে একজন আমার মা ও দুই মেয়ে। কর্মব্যস্ততার মধ্যে আমি যতটুকু ফ্রি সময় পাই তাদের সঙ্গে কাটাতে পছন্দ করি। তারপরই নিজের জন্য যে সময়টুকু ব্যয় করি সেটাতে একটু লেখালেখি করি। বই পড়তে পছন্দ করি। সঙ্গে বিভিন্ন ম্যাগাজিন পড়ি। মঝে মধ্যে ভালো সিনেমা দেখার চেষ্টা করি। সেই হিসেবে শখ বলতে বর্তমানে কিছু নেই। ছোটবেলায় যেমন স্ট্যাম্প সংগ্রহ করতাম, সানগøাস সংগ্রহ করতাম, ঘড়ি জমাতাম। ওই ধরনের শখ এখন আর নেই। আসলে শখ গুলো জীবনযাত্রার সঙ্গে মিশে গেছে।