Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

উপহার তালিকায় বই থাকুক শীর্ষে!

সৈয়দ ইকবাল
একুশে বইমেলায় প্রতিদিন আসছেন অসংখ্য ক্রেতা-দর্শক। বইমেলায় প্রতিদিন একবার হলেও ঢু মারা অনেকের রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে যাদের বাসাবাড়ি ও অফিস বাংলা একাডেমির আশে-পাশে তারা অনেকেই প্রতিদিন বইমেলায় আসছেন। প্রিয় কবি লেখকের নতুন বই কিনছেন। মেলা মাঠে ঘুরে ঘুরে প্রিয়জনকে খুঁজছেন। অনেকদিন পর প্রিয় বন্ধু অথবা কোনো আত্মীয়র দেখা পাওয়া মাত্রই আবেগে জড়িয়ে ধরছেন। বইমেলা প্রতিিদনই এমন আবেগঘন অনিন্দ্য সুন্দর দৃশ্যের সৃষ্টি হচ্ছে। ফেসবুকের কল্যাণে তা ছড়িয়েও যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
মিনহাজুল আবেদিন চাকরি করেন মতিঝিলে। প্রতিদিন অফিস ছুটির পর মতিঝিল থেকে হেঁটেই তিনি বইমেলায় আসেন। প্রথম কয়েকদিন শুধুই ঘুরে বেড়িয়েছেন বইমেলায়। একাধিক পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়েছে। প্রায় পনের বছর পর কলেজ জীবনের এক বন্ধুর দেখা পেয়েছেন তিনি। এজন্য অনেক খুশি। গতকাল বইমেলায় প্রায় ৭শ টাকার বই কিনেছেন। প্রসঙ্গ তুলতেই বললেন, এবার বইকেনার জন্য বেশ কিছু টাকা জমিয়ে রেখেছি। চলতি বছর পরিচিত কমপক্ষে ১০ জনের জন্মদিন আছে। তাদের জন্য বইমেলা থেকেই বই কিনব।
জহির শিকদার পুরনো ঢাকার আরমানিটোলায় থাকেন। সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। তাই অবসর কাটাতেই প্রতিদিন বইমেলায় আসেন। প্রিয়জনের মুখ খোঁজেন। গত পরশু বই মেলায় পুরনো এক অফিস কলিগের সঙ্গে দেখা হয়েছে। দু’জনে মিলে মেলার এপাশ-ওপাশ দুইপাশেই ঘুরে বেড়িয়েছেন। তারপর দুইবন্ধু দুটি বই কিনে পরস্পরকে উপহার দিয়েছেন। জহির বললেনÑ শরীর সুস্থ থাকলে প্রতিদিনই বইমেলায় আসব।
প্রিয় পাঠক, এখনও যারা একুশে বইমেলায় আসেননি তারা সিদ্ধান্ত নিন। বইমেলায় এলে সত্যি সত্যি মন ভালো হয়ে যাবে আপনার।