Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

আমি ভাই পৃথিবীর রাজা! -ইরেশ যাকের

মোহাম্মদ তারেক
আনন্দ আলো: ইরেশ নামের অর্থ কী
ইরেশ যাকের: ইরেশ নামের অর্থ হচ্ছে পৃথিবীর রাজা
আনন্দ আলো: এতকিছু থাকতে অভিনয়ে এলেন কেন?
ইরেশ যাকের: ছোটবেলা থেকেই আমি ভয়েস অ্যাকটিং করতাম। তারপর বিদেশে ছিলাম বেশ কয়েক বছর। সেখান থেকে দেশে এসেও ভয়েস অ্যাকটিং করতাম। সিসিমপুরে ভয়েস অ্যাকটিং করার সময় আমাকে কাছের একজন বলেন, তোমাকে টেলিভিশনে অভিনয় করতে দেখি না কেন? তার এই কথা আমাকে টিভিতে অভিনয়ের ক্ষেত্রে আগ্রহী করে।
আনন্দ আলো: মা-বাবা প্রতিষ্ঠিত অভিনয় শিল্পী হওয়ায় সবচেয়ে বড় সুবিধা ও সবচেয়ে বড় অসুবিধা
ইরেশ যাকের: সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায়। ভালো অভিনয় করা যায়। সেই ছোটবেলা থেকে মানুষজনকে অভিনয় করতে দেখে আসছি। সেই জায়গা থেকে আসলে অভিনয় করা সম্ভব হয়েছে। অসুবিধা হলো ভালো অভিনয় করলেও অনেকে বলেন, ও তো ভালো করবেই, অভিনয় ওর রক্তে আছে।
আনন্দ আলো: বাবার জায়গায় আমি হলে ইরেশ যাকেরকে যে পরামর্শ দিতাম…
ইরেশ যাকের: যেটাই করো, মন থেকে করো। সেটা করলে কোনো কিছু নিয়ে কখনো অপরাধবোধ কাজ করবে না।
আনন্দ আলো: বেশির ভাগ নাটকে আপনাকে একই ধরনের চরিত্রে দেখা যায় কেন?
ইরেশ যাকের: আমাদের যে ধরনের চিত্রনাট্য বা নির্দেশনা দেয়া হয়, সে ভাবেই অভিনয় করি। এটা আমাদের পুরো নাট্য জগতের সমস্যা। অনেক শক্তিমান অভিনেতাকেও আমরা একই ছাঁচে ফেলে দিয়েছি।
আনন্দ আলো: ধরা যাক কোনো গ্রামে আপনি শুটিং করতে গেলেন। ক্যামেরা, লাইট, অ্যাকশন বলার সঙ্গে আপনার সামনে একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার হাজির হয়ে গেল, তখন আপনি কী করবেন?
ইরেশ যাকের: স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকাটাই ভালো। দৌড়ে পালানোর কোনো উপায় নাই। কারণ বাঘ মামা যদি খ্যাপে যায়…
আনন্দ আলো: একদিন সকালে ঘুম থেকে জেগে দেখলেন নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ আপনার বাসার ড্রয়িংরুমে দাঁড়িয়ে আছেন। এই সময়ে কী করবেন?
ইরেশ যাকের: তখন আমি বুঝবো এখনো ঘুম থেকে উঠিনি। স্বপ্ন দেখছি। ঘুম থেকে উঠার চেষ্টা করব।
আনন্দ আলো: আপনাকে একদিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দেয়া হলো। প্রথমে কোন কাজটি করবেন?
ইরেশ যাকের: যে দেশে এমন পাগলামি শুরু হয়েছে যে কাউকে একদিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দেয়া যায়। সেই দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়াটাই ভালো।
আনন্দ আলো: অভিনয়ের বাইরে যে কাজ করলে শান্তি পাই…
ইরেশ যাকের: ফটোগ্রাফি করে, অফিসের কাজ করে আর দৌড়ালে শান্তি পাই।
আনন্দ আলো: কেউ যখন বলে, বিয়ে করছ না কেন? উত্তরে যা বলি…
ইরেশ যাকের: এ ব্যাপারে ‘রিটায়ারমেন্ট এজে’ চলে গেছি। হাঁ হাঁ হাঁ! ফলে এটা কোনো ব্যাপার না।
আনন্দ আলো: ক্রিকেট মাঠে যার বল খেলতে পারলে খুশি হতাম…
ইরেশ যাকের: ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবে ফাস্ট বোলার জোয়েল গার্নারের বল। আমার দেখা সবচেয়ে ভয়ানক ফাস্টবোলার, যেমন ইয়র্কার তেমনি বাউন্সার করতেন তিনি।
আনন্দ আলো: যে কাজ করে সবাইকে চমকে দিতে পারব…
ইরেশ যাকের: সিনেমা পরিচালনা করলে। কাজটা অনেক কঠিন, তাই মনে হয় না সেটা করব।
আনন্দ আলো: ডিএসএল আর ক্যামেরা থাকলেই ভালো আলোকচিত্রী হওয়া যায় না। আসলে যা দরকার…
ইরেশ যাকের: দেখতে হবে, জানতে হবে। যে কোনো ক্যামেরা নিয়েই ভালো ছবি তোলা সম্ভব, যদি পরিবেশটা উপলব্ধি করা যায়।
আনন্দ আলো: যে নাটক দেখে হেসেছি…
Ereash-Zakerইরেশ যাকের: হুমায়ূন আহমেদের বহুবিহী নাটকটি দেখে প্রচÐ হেসেছি।
আনন্দ আলো: বন্ধুরা যে কারণে সবচেয়ে বেশি খ্যাপায়…
ইরেশ যাকের: আমার অগোছালো দিকটি নিয়ে। এ ব্যাপারে আমার দক্ষতা অসাধারণ লেভেলে। একটা পরিপাটি রুম দুই ঘণ্টার জন্য আমার কাছে ছেড়ে দিলে সম্পূর্ণ অগোছালো করে ফেলতে পারব কোনো রকম পরিশ্রম ছাড়াই।
আনন্দ আলো: যে ক্ষেত্রে আমি একেবারেই ফিট নই…
ইরেশ যাকের: যে কোনো ধরনের ধৈর্যের পরীক্ষায়। এ ক্ষেত্রে দশে নিজেকে দেড় নম্বর দেব।
আনন্দ আলো: নাটক-সিনেমায় যে পরিবর্তন চাই…
ইরেশ যাকের: ‘ভিউয়ারশিপ’ পাল্টাতে হবে। এখন নাটক কেউ দেখে না। কারণ গুণ ও মানে আমরা একটা জায়গায় আটকে গেছি। ফলে ভালো নাটক যেমন বানাতে হবে, তেমনি সেটার প্রচারণাও জরুরি। একটা ভালো সাবান বানালেই হয় না, সেটা ভালো প্রচারণাও দরকার।
আনন্দ আলো: আমি যাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি…
ইরেশ যাকের: একজনের নাম বলা যাবে না। তিন জনের নাম বলতে হবে। মা-বাবা ও বোন।
আনন্দ আলো: মা-বাবার পরে যার ভালোবাসা আমাকে ধন্য করেছে?
ইরেশ যাকের: সর্বদা আমার বোন শ্রেয়া
আনন্দ আলো: বিয়ের পর তরুণীরা যদি বলে, আই লাভ ইউ!
ইরেশ যাকের: সেটা বলবে বলেই আশাকরি। এখন যেটা হয় লজ্জাপাই, মুখ লাল হয়ে যায়। শুধু হাসি।