Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

আড্ডা আর খাওয়া-দাওয়া চলে গভীর রাত পর্যন্ত

১৫ ডিসেম্বর বিশিষ্ট অভিনেত্রী আফরোজা বানুর জন্মদিন। কথা হলো- গুণী এ অভিনেত্রীর সঙ্গে।

আনন্দ আলো: ১৫ ডিসেম্বর আপনার জন্মদিন। দিনটি কীভাবে পালন করেন?

আফরোজা বানু: একদম ঘরোয়া পরিবেশে আমার জন্মদিন পালন করা হয়। জন্মদিনে এখন যেটা হয়, আমার স্বামী আমার জন্মদিন পালন করে থাকে। রাতে কেক নিয়ে আসে, কিছু উপহার নিয়ে আসে। ছেলে-মেয়েরা সাথে থাকলে ওরা নিজেদের মতো সারপ্রাইজ দেয়। ছেলে-মেয়ে দুজনই দেশের বাইরে থাকে। ওরা ফোন করে, মোবাইলে ম্যাসেজ পাঠিয়ে আমাকে জন্মদিনে উইশ করে। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, নাটকের কলিগ যারা আমাকে মনে রাখে তারা শুভেচ্ছা জানায়। গিফট দেয়। খুবই ভালো লাগে।

আনন্দ আলো: ছোটবেলার জন্মদিন আর এখনকার জন্মদিনের মধ্যে কী পার্থক্য খুঁজে পান?

আফরোজা বানু: অনেক পার্থক্য খুঁজে পাই। আমরা যে সময়ের মানুষ তখন তো আর জন্মদিন পালনের কোনো কায়দা কানুন ছিল না। ছোটবেলায় একদম সিম্পলভাবে আমার জন্মদিন পালন করা হতো। মা-বাবাই জন্মদিনের কথা মনে রাখতেন। মা জন্মদিনে বাড়িতে পায়েস এবং ভালো কোনো খাবার রাঁধতেন। সব ভাই-বোনের ক্ষেত্রে মা এটা করতেন। ছোটবেলায় এভাবেই আমাদের জন্মদিন পালন করা হতো। এখন আর মায়ের হাতে রান্না খাওয়া হয় না। বাড়িতে এখন আমিই মা, আমিই রাঁধুনি। আমার জন্মদিনে আমাকে রাঁধতে হয়। যেহেতু আমি থিয়েটার করি সেই সুবাদে জন্মদিনের বিষয়টা সহকর্মীরা জেনে যায়। কেউ কেউ মনেও রাখে। জন্মদিনে সহকর্মী, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন অনেকেই বাসায় শুভেচ্ছা জানাতে আসে। আর বিষয়টা বুঝেই আমি সেদিন এটা সেটা রান্না করি। কাউকে দাওয়াত করি না। তবে ঠিকই কখনো ৫ জনকে নিয়ে আবার কখনো ৮/১০ জনকে সঙ্গে নিয়ে খাওয়া দাওয়া করি। তারপর সবাই মিলে হৈচৈ করে বাসায় আড্ডা দেই। এখনকার জন্মদিনটা এভাবেই কেটে যায়।

আনন্দ আলো: জন্মদিনে কী উপহার পেতে ভালো লাগে?

আফরোজা বানু: ছোটবেলায় বাবা আমার জন্মদিনে সবসময় বই উপহার দিতেন। বন্ধু-বান্ধব যারা আছেন তারাও জন্মদিনে বই উপহার দেন। উপহার হিসেবে বই পেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আমার নিজেদের লোকদের বলে দেই প্লিজ আমাকে কেউ ভাড়িটারি উপহার দিও না। এত জিনিস বাড়িতে আছে আর কিছু লাগবে না। জন্মদিনে এখন একটা ফোন কলই সবচেয়ে বড় উপহার আমার কাছে মনে হয়।

আনন্দ আলো: আপনাদের বিবাহ বার্ষিকী কীভাবে পালন করেন?

আফরোজা বানু: আমরা সবসময় বাসায় বিবাহ-বার্ষিকী পালন করে থাকি। এই স্মরণীয় দিনটি আমরা সবসময় স্মরণে রাখি। আমাদের বিয়ের পর থেকে এখনও পর্যন্ত আমার থিয়েটারের কয়েকজন বন্ধু মিলেই সবসময় বিবাহ বার্ষিকী পালন করে থাকি। আমাদের বিবাহ বার্ষিকীতে বন্ধু-বান্ধবদের বলতে হয় না। কাউকে দাওয়াত দিতে হয় না। সন্ধ্যার পর থেকেই বাসায় আড্ডা জমে যায়। আড্ডা আর খাওয়া-দাওয়া চলে গভীর রাত পর্যন্ত।

১০ অক্টোবর আমাদের বিবাহের দিন এবার আমি একটু অসুস্থ ছিলাম। বন্ধুরা ফোন করে বলে দিয়েছে, বাসায় কিছু করতে হবে না। আমরাই রান্না-বান্না করে নিয়ে আসব। বন্ধু-বান্ধবরা সবাই মিলে একটা একটা করে খাবারের ডিস নিয়ে এসে নিজেরাই হৈচৈ করে গেছে। আমাদের বিবাহ বার্ষিকীটা খুবই আনন্দে পালন করা হয়।