সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2001-2021 - আনন্দ আলো
-ডা. এজাজ
জনপ্রিয় অভিনেতা ডা. এজাজ বর্তমানে অভিনয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার হচ্ছে তার অভিনীত কয়েকটি ধারাবাহিক। অভিনয় ও সমসাময়িক নানান প্রসঙ্গে কথা হলো তার সঙ্গে-
আনন্দ আলো: এখনকার ব্যস্ততা কী নিয়ে?
ডা. এজাজ: অভিনয় নিয়েই ব্যস্ততা। বেশকিছু ধারাবাহিক ও খণ্ড নাটকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত আছি।
আনন্দ আলো: বর্তমানে কোন কোন নাটকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত আছেন?
ডা. এজাজ: সকাল আহমেদের ‘রাণী রাজ্য’ শিরোনামের একটি ধারাবাহিকে কাজ করছি। খুব শিগগির মাসুদ সেজানের ‘পোস্টমর্টেম’ শিরোনামের একটি ধারাবাহিক নাটকে কাজ শুরু করব। এদিকে নায়মূল করিম পরিচালিত ‘মামা মারে ছক্কা’ ছবির শুটিং শেষ করেছি। আগামী সপ্তাহে এই ছবির ডাবিং শুরু হবে। এছাড়া বাংলাভিশনে ‘চলিতেছে সার্কাস’ ও ‘লড়াই’ শিরোনামের দুটি ধারাবাহিক প্রচার হচ্ছে। আর টিভিতে প্রচার হচ্ছে ‘শান্তি অধিদপ্তর’।
আনন্দ আলো: আপনি তো পেশায় একজন ডাক্তার। অভিনেতা ও ডাক্তারের মধ্যে পার্থক্য কী?
ডা. এজাজ: আমি রোগী দেখার সময় ডাক্তার, অভিনয় করার সময় অভিনেতা । অর্থাৎ আমি যখন অভিনয় করি, তখন শুধুই অভিনেতা। যখন চেম্বারে বসি তখন একজন ডাক্তার। রোগী দেখার সময় আমার মধ্যে অভিনয়ের কোনো কিছুই থাকে না। আমার কাছে চিকিৎসা নিতে আসা মানেই ডা. এজাজের কাছেই আসা, অভিনেতা এজাজের কাছে নয়।
আনন্দ আলো: নাটকের গল্পে নতুনত্ব কেমন খুঁজে পান?
ডা. এজাজ: এ সময়ের নাটকের গল্পে খুব একটা নতুনত্ব খুঁজে পাই না। একজন নির্মাতা যদি ভিন্ন কিছু না ভাবে, তাহলে একজন অভিনেতার কিছু করার থাকে না। এই মুহূর্তে যদি আমি গতানুগতিক চরিত্রে অভিনয় না করি, তাহলে আমার হাতে কোনো নাটকই থাকবে না। কিন্তু অভিনয় ছাড়া আমি চলতেও পারব না। এ জন্য দশটি নাটক থেকে তিনটি নাটকে হলেও অভিনয় করছি।
৬০ বছর বয়সী প্রেমিকযুগল মাজনুন-ছন্দা!
যৌবন বয়সে মাজনুন মিজান আর গোলাম ফরিদা ছন্দা দু’জন-দু’জনকে ভীষণ ভালোবাসেন। একটা সময় তারা দেখা করার জন্য স্টেশনে আসার সিদ্ধান্ত নেন। ছন্দা সেদিন সময়মতো হাজির হলেও মাজনুন মিজান আসতে পারেননি। ছন্দা ভুল বোঝেন। অপেক্ষা করতে করতে এক সময় চলে যান। কিন্তু ছন্দা জানতে পারেননি মিজান স্টেশনে আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। এরপর কেটে যায় ৩০ বছর। যৌবন পেরিয়ে বার্ধক্য আসে তাদের জীবনে। হঠাৎ একদিন তাদের সেই স্টেশনেই আবার দেখা হয়। মুখোমুখি হয় ৬০ বছর বয়সী প্রেমিক- প্রেমিকা; কিন্তু সে সময় তারা দু’জনেই অন্যরকম। যে যার জীবনে প্রতিষ্ঠিত। সেখানে শবনম ফারিয়াও একজনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। গল্পের বাঁকবদল ঘটে। এমন গল্পে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘হলুদ খামে নীল বৃষ্টি’। নাটকটি পরিচালনা করেছেন বিশ্বজিৎ দত্ত।
একজন রাইটারের গল্প
কমলেশ্বর চৌধুরী একজন জনপ্রিয় লেখক। হঠাৎ করেই তিনি সমস্যায় পরেন। লিখতে পারছেন না। কোনো গল্প তার মাথায় কাজ করে না। তাই বাড়ি থেকে অজানার উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়েন তিনি। পথে এক তরুণীর সঙ্গে তার দেখা। আলাপচারিতা হয় দু’জনের মধ্যে। আবার বেরিয়ে পড়েন লেখক কমলেশ্বর। রাতে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন তিনি। যেখানে গিয়ে কমলেশ্বর নিজের একটি অতীত খুঁজে পান। প্রিয়তমার মুখখানি আবিষ্কার করেন। কিন্তু শেষমেশ গল্প মোড় নেয় অন্যদিকে। এমনি গল্পের নাটক ‘রাইটার’। জামাল মল্লিকের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন ইনেৱখাব দিনার, চৈতী ও নুসরাত রুহী প্রমুখ। সম্প্রতি নবাগঞ্জের বিভিন্ন লোকেশনে নাটকটির শুটিং সম্পন্ন হয়। ইনেৱখাব দিনার বলেন, ‘নাটকের গল্পে একটা অন্যরকম ভালোলাগা আছে। জীবনের অনেক রং এই নাটকের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আশা করি দর্শকদের নাটকটি ভালো লাগবে।’