সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2001-2021 - আনন্দ আলো
অভিনেত্রী অপর্ণা ঘোষের টিভিপর্দা ও চলচ্চিত্র উভয় অঙ্গনে সফল পদচারণা রয়েছে। বর্তমানে তিনি একাধিক ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন। অভিনয় ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি-
আনন্দ আলো: কী নিয়ে ব্যসৱ রয়েছেন?
অপর্ণা ঘোষ: ধারাবাহিক নাটকের শুটিং নিয়ে ব্যসৱ রয়েছি। সম্প্রতি ‘হাউজ ৪৪’এ অভিনয় করেছি। এটি পরিচালনা করেছেন মাবরুর রশিদ বান্নাহ। অভিনয় করছেন- মিশু সাব্বির, শবনম ফারিয়া প্রমুখ। একটি পরিবারের জীবন যাপন ও ব্যাচেলরদের হাস্যকর সব কান্ড নিয়েই এ ধারাবাহিকের পটভূমি গড়ে উঠেছে। বর্তমানে নাটকটি এনটিভিতে প্রচার হচ্ছে। এছাড়াও আমার অভিনীত বেশকিছু ধারাবাহিক নাটক বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- আলভি আহমেদের ‘শূন্য থেকে শুরু’, রহমতউল্লাহ তুহিনের ‘টক অব দ্যা টাউন’, সকাল আহমেদের ‘থার্ড আই’ ইত্যাদি। আরও ২-৩টি নতুন ধারাবাহিকে অভিনয়ের কথা চলছে।
আনন্দ আলো: আপনাকে নাকি এখন অনেকে টম বয় নামে ডাকে?
অপর্ণা ঘোষ: হ্যাঁ। বিষয়টা বেশ মজার। ‘টক অব দ্যা টাউন’ নাটকে আমি টম বয় চরিত্রে অভিনয় করছি। এতে আমার চরিত্র ছেলে মানুষের মতো, আমার চরিত্রের নাম দেয়া হয়েছে টম বয়। নাটকে আমাকে ছেলে মানুষের মতো শার্ট প্যান্ট, বয়কাট দেয়া গেটআপে দেখা যাচ্ছে।
আনন্দ আলো: চলচ্চিত্রের ব্যসৱতা…
অপর্ণা ঘোষ: সম্প্রতি আমি ‘ভুবন মাঝি’ ছবির শুটিং শেষ করেছি। এটি পরিচালনা করেছেন ফখরুল আরেফিন। দুই বাংলার যৌথ প্রযোজনায় ছবিটি নির্মিত হয়েছে। আমার বিপরীতে অভিনয় করছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যয়। ছবিটিতে মুক্তিযুদ্ধ ও বাউলদের জীবনযাপন নিয়ে গল্প আবর্তিত হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন লোকেশনে এর দৃশ্যধারণ সম্পন্ন হয়েছে। এখন আমি ছবির ডাবিং করছি। চলতি বছরই ‘ভুবন মাঝি’ মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
আনন্দ আলো: টিভি নাটক নাকি চলচ্চিত্র- কোথায় কাজ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন?
অপর্ণা ঘোষ: আমার অভিনয় জীবন মঞ্চ থেকে শুরু হয়েছে। তাই ছোটপর্দা কিংবা বড়পর্দা যেটাই হোক প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমি খুব গুরুত্ব দিয়ে অভিনয় করে থাকি।
শুটিংয়ে ক্লানৱ হওয়ায় হাসপাতালে!
‘চ্যানেল আই সেরা নাচিয়ে’র তৃতীয় আসরের বিজয়ী হৃদি শেখ বেড়ে উঠেছেন রাশিয়ার মস্কোতে। সম্প্রতি তিনি সেখানে এক মাসের জন্য সেখানে বেড়াতে যান। রাশিয়ায় যাওয়ার আগে অভিনয় করেছেন ‘অতিক্রম’ নামের একটি টেলিছবিতে। এখানে তাকে দেখা যাবে চিত্রনায়ক ইমনের বিপরীতে। টেলিছবিটির শুটিং-এর সময় অন্যরকম এক ঘটনা ঘটে। ঢাকার উত্তরায় দিয়াবাড়িতে প্রথম দিন কাজ করেই ক্লানৱ হয়ে পড়েছিলেন হৃদি। এ কারণে শুটিং প্যাকআপ করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছিলো। প্রাথমিক চিকিৎসার পরই অবশ্য তিনি সুস্থ হয়ে যান। ‘অতিক্রম’-এর গল্পে দেখা যাবে, রেজা (ইমন) ভালোবাসে রিটাকে (হৃদি)। মা ঘরে বন্দি করে রাখতে চান মেয়েকে। তার শর্ত- কখনও ছেলেদের সঙ্গে মেশা যাবে না, ঘুরতে যেতে পারবে না ইত্যাদি। একদিন মা তাকে থাপ্পড় দিলে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে রেজার বাড়ি চলে যায়। তবে রেজা উপলব্ধি করে, রিটার এভাবে পালিয়ে আসাটা ঠিক হয়নি। সে রিটাকে বোঝায়। এগুতে থাকে টেলিছবিটির গল্প। শাহাজাদা মামুনের লেখা টেলিছবিটি পরিচালনা করেছেন সোলাইমান জয়। পরিচালক বলেন, ‘এই টেলিছবির মূল বার্তা হলো- সনৱানকে অতিরিক্ত শাসন করা উচিত নয়। এজন্য বড় কোনো দুর্ঘটনাও ঘটে যেতে পারে। টেলিছবিতে আরও অভিনয় করেছেন তাজিন আহমেদ, আরফান আহমেদ, শপথ, মুক্তা প্রমুখ। এটি চ্যানেল আইতে প্রচারের কথা রয়েছে।
শ্রীমঙ্গলে তারা!
সিলেটে গিয়ে বৃষ্টিবন্দি হয়ে পড়েছেন টেলিভিশনের কয়েকজন তারকা। ‘ময়নাগুড়ি টি স্টেট’ নামের একটি নাটকের দৃশ্যধারণের প্রয়োজনে সেখানে গেছেন অভিনেতা হিল্লোল, শাহেদ, আশীষ খন্দকার, অভিনেত্রী নওশীন ও ঈশানা। বৃষ্টিবন্দি হয়ে থাকার অভিজ্ঞতা জানিয়ে হিল্লোল বলেন, ‘টানা তিন দিন বৃষ্টিবন্দি হয়ে নাটকটির দৃশ্যধারণ করেছি। কিছুক্ষণ পরপর বৃষ্টির উপদ্রব হয়েছে। চা বাগানের মধ্যে কাদা হয়ে গেছে। এভাবেই শুটিং করেছি। বৃষ্টির এই সমস্যা না হলে একদিনের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যেতো। মোটামুটি কাজ শেষ করে ঢাকায় ফিরেছি। নাটকের গল্পে দেখা যাবে, নওশিন ও ঈশানা দুই বোন আর হিল্লোল ঈশানার দুলাভাই। নওশিন ও ঈশানার বাবা মারা যাওয়ার পর তাদের ময়নাগুড়ি টি স্টেটের মালিক বনে যান দুলাভাই হিল্লোল। এক পর্যায়ে ঈশানার ওপর কুনজর পড়ে তার। সম্পত্তির লোভে নিজের স্ত্রী নওশীনকে মারার জন্য কবি ছদ্মবেশী আশীষ খন্দকারকে ভাড়া করে আনেন হিল্লোল। কিন্তু নিজের ফাঁদা জালে নিজেই জড়িয়ে পড়েন তিনি। খুন হয়ে যান। তদনৱ করতে আসেন শাহেদ। তিনি নাটকটিতে একজন পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। নাটকটি পরিচালনা করেছেন বিপুল রায়হান।